দস্যু বনহুর সমগ্র
2,300.00৳
Lorem ipsum dolor sit amet, consetetur sadipscing elitr, sed diam nonumy eirmod tempor invidunt ut labore et dolore magna aliquyam erat, sed diam voluptua.
Phasellus id nisi quis justo tempus mollis sed et dui. In hac habitasse platea dictumst. Suspendisse ultrices mauris diam. Nullam sed aliquet elit. Mauris consequat nisi ut mauris efficitur lacinia.
Description
ভাবতে পারেন একটি বই কতটা পাঠকপ্রিয়তা পেলে পাঠকসমাজ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে বই পড়তো? হ্যা বলছিলাম রোমানা আফাজের সৃষ্টি “দস্যু বনহুরের কথা”
বই থেকে কিছু অংশঃ
গাঢ় অন্ধকারে গোটা পৃথিবী আচ্ছন্ন। আকাশে দু’একটি তারকা ক্ষুদে বিড়ালের চোখের মত মিটমিট করে জ্বলছে। বাতাস স্তব্ধ হয়ে গেছে। গাছের পাতাগুলো পর্যন্ত নড়ছে না। চারদিকে একটা গভীর নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। অন্ধকারে বিরাট বিরাট গাছ এক একটা দৈত্যের মতই মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসছে কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজ। এছাড়া কোন শব্দই নেই যেন দুনিয়ায়।
অন্ধকারের বুকে গা এলিয়ে দিয়ে শহরটাও যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। শহরের বিশিষ্ট স্থানে বিরাট আকাশচুম্বী প্রাচীরে ঘেরা হাঙ্গেরী কারাগার।
সুউচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত এই কারাগারের একটি কক্ষে বন্দী দস্যু বনহুর। সশস্ত্র পুলিশ রাইফেল হাতে অবিরত সজাগ পাহারা দিচ্ছে। নিস্তব্ধ কারাগার কক্ষে শুধু জেগে উঠেছে সজাগ প্রহরীর ভারী বুটের শব্দ—খট খট খট।
রোমেনা আফাজ মানেই কিন্তু অনেকের কাছে স্মৃতিরা হুড়মুড় করে সামনে চলে আসা। অলস সময়ে বা পাঠ্যবইয়ের আড়ালে নিয়ে ‘আউট বই’ পড়ায় মজে যাওয়া এবং সেই দিনগুলোর কথা ভেবে সুখ-বেদনামিশ্রিত অনুভূতিতে মন কেমন করে ওঠা।
কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক (মোস্তাক শরীফ) বললেন, “আশির দশকের শুরুর দিকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে যে কয়েকটা বই দিয়ে আমার গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে তারমধ্যে দস্যু বনহুর সিরিজ একটি। সে সময়ে এই সিরিজের বিপুল জনপ্রিয়তা। গোগ্রাসে পড়তাম। বই পড়া বা সংগ্রহ করার বিষয়টা ছিলো খুব মজার। দস্যু বনহুরের কিছু ভয়ঙ্কর রকমের ভক্ত ছিলেন। তারা এই বইগুলো কিনতেন এবং অন্যদের কাছে ভাড়া দিতেন। ৫০ পয়সা, এক টাকা, দুই টাকায় বই ভাড়া করে পড়তাম। দস্যু বনহুরের বৈশিষ্ট্য ছিলো একটা গল্প যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানে আরেকটা পড়ার জন্য লেখক ক্লু রেখে দিতেন। তার ফলে পাঠক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো পরের খন্ডের জন্য। পাঠকের পাঠরুচি তৈরি করাতে লেখক এবং গ্রন্থাগারিক দুজনেরই ভুমিকা রয়েছে। একজন গ্রন্থাগার পেশাজীবি হিসেবে মনে করি, যে সব লেখক ও তাঁদের সৃষ্টিকর্ম বিস্মৃত হয়ে গেছে, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করানোর ক্ষেত্রে আমাদের ভুমিকা আছে। বেশিরভাগ গ্রন্থাগারেই এখন রোমেনা আফাজের বই নেই অথচ একসময় তিনি ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।”
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “রোমেনা আফাজ একজন ব্যতিক্রমী লেখক। যে সময়ে তিনি রহস্য উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন তখন আর কোনো নারী লেখক এই ধারায় আসেননি। তাঁর চিন্তা, চেতনা, মননশীলতা এবং সৃজনশীলতার পুরো জায়গাটি আমার কাছে ভীষণ অর্থবহ মনে হয়। তাঁর এই রহস্য ও রোমাঞ্চ উপন্যাসগুলো পাঠক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত প্রত্যেক পাঠকের মনোজগৎকে তাঁর লেখাগুলো যেভাবে আলোড়িত করেছে সেখানেই রোমেনা আফাজের কৃতিত্ব।”
দস্যু বনহুর মোট আট খন্ডের এই সিরিজে প্রকাশ পেয়েছে ১৩৮ টি বইয়ের পূর্ণাঙ্গ রূপ। আসলে এই সিরিজের বই নিয়ে ঢোল পিটিয়ে বলার মতো কিছু নেই, যারা সস্তা জনপ্রিয়তা না খুঁজে সেরাটা পড়তে চায় তাদের কাছে এসব বই অজানা কিছু নয়।
মোট আটটি খন্ড রয়েছে এই সিরিজে, প্রতিটি খন্ডের বিক্রয় মূল্য মাত্র ৩৫০ টাকা৷ আট খন্ড একত্রে ২৩০০ টাকা, ডেলিভারি চার্জ একদম ফ্রি।
Reviews
There are no reviews yet.